সন্তোষচন্দ্র মজুমদার সংখ্যা -রবীন্দ্রভাবনা পত্রিকা

Click on the button below to contact us on WhatsApp, and buy.

BUY ON WHATSAPP

HOW TO PAY

You can pay send your payment at any of the following UPI IDs, or scan the QR code, or send the payment directly to our bank:

INDIA POST PAYMENTS BANK

India Post

(IPPB) UPI ID= 9563646472@postbank
Malay De Sarkar
A/C No: 100005759940
IFSC: IPOS0000001
Mobile: 9563646472
STATE BANK OF INDIA

India Post

(SBI) UPI ID= 9563646472@sbi
Malay De Sarkar
A/C No: 32004843406
IFSC: SBIN0000162
Mobile: 9563646472

প্রায় চার-পাঁচশাে সাঁওতালি গান সন্তোষচন্দ্র মজুমদার সংগ্রহ করেন। প্রবাসী ও বিশ্বভারতী পত্রিকায় কিছু গান সন্তোষচন্দ্রের ভূমিকা ও স্বকৃত অনুবাদ সহ প্রকাশিত হয়। কতকগুলি গান সন্তোষচন্দ্র ইংরেজিতে অনুবাদ করেবিশ্বভারতী কোয়াটার্লি পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর অনুবাদের ও প্রবন্ধ রচনার ভাষা তাঁর সাহিত্যবােধের পরিচয় দেয়।রবীন্দ্রনাথ যখন বন্ধু শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারের কাছ থেকে তার জ্যেষ্ঠপুত্র
সন্তোষচন্দ্রকে চেয়ে নেন, সন্তোষচন্দ্রের বয়স তখন পনেরাে-যােল। রবীন্দ্রনাথের‌নির্দেশে শান্তিনিকেতনের তৎকালীন শিক্ষক মনােরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় রথীন্দ্রনাথ ও সন্তোষচন্দ্রকে অল্পদিনের মধ্যেই এন্টন্সি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে তােলেন।আশ্রম-বিদ্যালয়ের পরিবেশে রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে একসঙ্গে তিনি মানুষ হন।
জাপানী যুযুৎসুবিদ সানাে সানের কাছে যুযুৎসু শিক্ষা, ১৯০৫ সালের স্বদেশী আন্দোলনের উদ্দীপনা ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাপানের জয়ে এশিয়ার গৌরববােধ,স্বদেশের বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে পরিচয়—তরুণ বয়সে জীবনের এই রকম অনেক স্মরণীয় অভিজ্ঞতাই রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার একসঙ্গে হয়েছে। প্রকৃত
পক্ষে রবীন্দ্রনাথ সন্তোষচন্দ্র ও রথীন্দ্রনাথকে শিক্ষা ও কর্মজীবনে একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়ার কথাই ভেবেছিলেন। ১৯০৮ সালে সন্তোষচন্দ্রের পিতার মৃত্যু ঘটে যখন, সন্তোষচন্দ্র তখন বিদেশে।রবীন্দ্রনাথ তার শান্তিনিকেতন গড়ার পরিকল্পনাকে রূপায়িত করতে যে সব দক্ষ কারিগরের সহায়তা পেয়েছিলেন সন্তোষচন্দ্র মজুমদার তাদের অন্যতম।কোনাে কোনাে সম্ভাবনাপূর্ণ মানুষ থাকেন যারা তাদের পারিপাশ্বিক থেকে যা কিছু গ্রহণীয় তা সর্বাংশে গ্রহণ করে পুষ্ট হন এবং সেই পারিপার্শ্বিককে ছাড়িয়ে বহু দূর অগ্রসর হয়ে যান, তার আত্মপ্রকাশের উজ্জ্বলতায় যাত্রা-শুরুর পরিবেশটুকু ঢাকা পড়ে যায়। সন্তোষচন্দ্র মজুমদারের ক্ষেত্রে কিন্তু তা ঘটে নি। তিনি
তার আকৈশােরের পরিবেশের সঙ্গে সারা জীবন এমনই মিলিয়ে ছিলেন যে তা থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়াই যায় না। তার জীবন শান্তিনিকেতনের ইতিহাসের সঙ্গে অব্যবহিত যােগে যুক্ত। বাইরে থেকে দেখলে তার নিজের
পারিবারিক গণ্ডি ও শান্তিনিকেতনের কর্মক্ষেত্রে ছাড়া সন্তোষচন্দ্রের জীবনের আর কোনাে তাৎপর্যই নেই। কিন্তু সত্যদৃষ্টিতে দেখলে বােঝা যাবে শান্তিনিকেতনের মধ্যে দিয়ে যদি কোনাে বৃহৎ শক্তি ও মহৎ আদর্শের বিকাশ ঘটে থাকে তবে সন্তোষচন্দ্র সেই শক্তি ও আদর্শের একজন শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি।একেবারে সেই প্রথম যুগে রবীন্দ্রনাথের আদর্শ ও পরিকল্পনা রূপায়ণে সতীশচন্দ্র রায়, অজিতকুমার চক্রবর্তী, জগদানন্দ রায়, ক্ষিতিমােহন সেন, বিধুশেখর শাস্ত্রী যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, সন্তোষচন্দ্রের ভাগ্যবিধাতাও সেই ভূমিকা
পালনের জন্যই তাকে শান্তিনিকেতনে আহ্বান করে এনেছিলেন।সন্তোষচন্দ্র সম্পর্কে জীবনীমূলক তথ্যের পরিমাণ খুব বেশি নয়।
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৮৮৬ কলকাতায় তার জন্ম হয়। পিতা শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার(১৮৬৫-১৯০৮ ) ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, সাহিত্যিক হিসাবেও তিনি প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছিলেন। মাতা যুগলমােহিনী দেবী (১৮৬৮-১৯৪২)।সন্তোষচন্দ্রের পিতামহ প্রসন্নকুমার মজুমদার রাজশাহী জেলার পুঠিয়া স্টেটের দেওয়ান ছিলেন।

Scroll to Top