এক ভবঘুরে বাউন্ডুলে,পায়ে বেঢপ জুতো, মাথায় টুপি এবং হাতে লাঠি নিয়ে ধনতান্ত্রিক শাসন শোষণ অসাম্য এবং পচা গলা বীভৎস নোংরা এক সমাজব্যবস্থার নির্মম চেহারাটা উদঘাটন করেছেন তীক্ষ্ণ শাণিত ব্যঙ্গের।চার্লি চ্যাপলিন চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে মহত্তম ব্যক্তিত্ব যিনি শত প্রলোভন প্ররোচনাকে অগ্রাহ্য করে তুলে ধরেছিলেন জীবনধর্মী মানবতাবাদী চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল পতাকা।১৯১৪ সালের ‘কিড অটো রেসেস এ্যাট ভেনিস’এবং ‘মেকিং এ লিভিং’ থেকে ১৯৫৭ সালের ‘এ কিং ইন নিউইয়র্ক’ এক বিশাল পথ পরিক্রমা যেখানে শ্রেণী শোষণের বিরুদ্ধে চ্যাপলিনের নির্মম কষাঘাত নির্মল হাস্যরস থেকে ক্রমাগতই ব্যঙ্গ বিদ্রূপ এবং আক্রমণে শানিত এবং তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণতর। সাম্রাজ্যবাদ ও নয়া সাম্রাজ্যবাদ চিরদিনই ছোট্ট এই ভবঘুরে মানুষটিকে শত্রু হিসেবে দেখেছে অন্যদিকে শোষিত নিপীড়িত মানুষ চ্যাপলিনের মধ্যে দেখেছেন দেখেছেন মানবতাবাদী শিল্পীর এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।