কাউন্টার ফটো, ডিসেম্বর ২০০৪

Click on the button below to contact us on WhatsApp, and buy.

BUY ON WHATSAPP

HOW TO PAY

You can pay send your payment at any of the following UPI IDs, or scan the QR code, or send the payment directly to our bank:

INDIA POST PAYMENTS BANK

India Post

(IPPB) UPI ID= 9563646472@postbank
Malay De Sarkar
A/C No: 100005759940
IFSC: IPOS0000001
Mobile: 9563646472
STATE BANK OF INDIA

India Post

(SBI) UPI ID= 9563646472@sbi
Malay De Sarkar
A/C No: 32004843406
IFSC: SBIN0000162
Mobile: 9563646472

ইমেজ এবং ছবির বস্তুর প্রত্যক্ষ সাদৃশ্যতা বার্থ এবং তার সমসাময়িক আলােকচিত্র তাত্ত্বিকদের ভাবনার কেন্দ্রে ছিল। এ বাদে,আলােকচিত্রের ক্ষেত্রে সিগ্নিফিকেশন তত্ত্বের প্রধান প্রয়ােগের জায়গা ছিল তার বিষয়বস্তুর অর্থোদ্ধার যেমন, প্যারিস ম্যাচের প্রচ্ছদ ছবি,কৃষ্ণাঙ্গ ফরাসী সৈনিক, কিংবা পানজানির পাস্তার ছবি, যেটির অর্থ সেটি বিজ্ঞাপন হওয়ার কারণে সরাসরি ও প্রত্যক্ষ ছিল। সমকালের আলােকচিত্র-তাত্ত্বিকেরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে আরেকটি বিষয়ের প্রতি:প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি কিভাবে বস্তু/সাবজেক্ট নির্মাণ করে। বার্গিন বলেন,ধ্রুপদী পেইন্টিং এর মত আলােকচিত্রের সিগ্নিফাইং ব্যবস্থা চিত্রিত করে একটি দৃশ্য এবং দর্শকের দৃষ্টিকে, একটি বস্তু এবং একজন দর্শনকারী সাবজেক্টকে। তিনি বলেন, আলােকচিত্র, যেটির উৎপাদ হচ্ছে টু-ডাইমেনশনাল সাদৃশ্যবহনকারী চিহ্ন, মূলত রেনেসাঁ-যুগের ‘ক্যামেরা অবস্কিউরা’র যন্ত্রপাতি দ্বারা গঠিত। ছবির বিষয়বস্তু যাই হােক না কেন, জ্যামিতিক প্রােজেকশনের নিয়মানুসারে ছবিটি এমনভাবে চিত্রিত হয় যাতে মনে হয় পয়েন্ট-অফ-ভিউটা অনন্য।বার্গিন বলেন, বর্তমানে পয়েন্ট-অফ-ভিউর পজিশন বাস্তবে দখল করেছে ক্যামেরা, দর্শককে এই পজিশনটিই প্রদান করা হয়।
রেপ্রিজেন্টেশন ব্যবস্থা পয়েন্ট-অফ-ভিউর সঙ্গে সংযুক্ত করে ফ্রেম,যেটির পূর্বসূরী হচ্ছে কাঠের ফ্রেম/ইজেল পেইন্টিং, তারও আগে এর পূর্বসূরী ছিল মিউরাল পেইন্টিং ইত্যাদি। বার্গিন বলেন, ফ্রেমের অন্তর্ভুক্তিকরণের সাহায্যে বিশ্বকে বিন্যস্ত করা হয় সুসংগঠিতভাবে। যা কিনা বাস্তবে অনুপস্থিত। রেপ্রিজেন্টেশনের কাঠামাে – পয়েন্ট অফ ভিউ, এবং ফ্রেম – মতাদর্শের পুনর্নির্মাণের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।অন্য কোনাে গ্রন্থীয় ব্যবস্থা আলােকচিত্রের মত নিজেকে এমন
“স্বাভাবিক” হিসেবে উপস্থাপন করে না। আলােকচিত্রীয় যন্ত্রপাতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সাবজেক্টকে এমনভাবে পজিশন করে যে, ছবির
textuality খােদ সেটির বস্তুকে আড়াল করে এ কারণে সাধারণত ছবি নিষ্ক্রিয়ভাবে পাঠ করা হয়, সক্রিয়ভাবে না। অধিকাংশ ছবির ক্ষেত্রে সঙ্কেত-মুক্তি (ডি-কোড) এবং অর্থ-আরােপণ একই মুহুর্তে ঘটে, অচেতনভাবে, “স্বাভাবিকভাবে”; তবে এটি ঘটে। বার্গিন বলেন,সমগ্রতা, সংগঠিতপণা, সাদৃশ্যতা – যেগুলাে আমরা ধরে নেই একটি
তােলা-ছবির অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য- তা আসলে,
একটি প্রক্ষেপণ/প্রজেকশান।ক্যামেরা নামক বস্তুটি মার্ক্সের জীবদ্দশায় আবিস্কৃত হয়।রেপ্রিজেন্টেশনের এই নতুন মাধ্যমের ব্যাপারে মার্ক্স কোনাে মন্তব্য করেননি, যদিও উনবিংশ শতকে আলােকচিত্রকে একটি বৈপ্লবিক মাধ্যম ভাবা হয়েছিল। মার্ক্সের লেখালেখিতে আলােকচিত্রের‌একটিমাত্র উল্লেখ পাওয়া যায়, এটি হচ্ছে আরেক ধরনের “ইন্ডাস্ট্রি”এ হিসেবে। মিচেল মনে করেন, আলােকচিত্র অবিচ্ছেদ্যভাবে একটি বাস্তবধর্মী/রিয়ালিস্টিক মাধ্যম, এই ধারণা মার্ক্সের বাস্তববাদের প্রতি ঝোঁকের সঙ্গে (সাহিত্য, পেইন্টিং) খাপ খায়। তিনি বলেন,দৃশ্যগত কলায় (visual arts) বাস্তবতা-নির্মাণের, বাস্তব-ইমেজ-নির্মাণের বিভিন্ন ধারা রয়েছে: যেমন ধরুন, রেমব্রান্টের ঠিক-যেন-জীবন্ত-মানুষ পেইন্ট করতে পারার সামর্থ্য। মার্ক্স ও এঙ্গেলসের ভাষায়, রেমব্রান্টের চিত্রিত মানুষগুলাে “জীবন্ত গুণাবলি-সম্পন্ন”।কিন্তু, মিচেল বলেন, রেমব্রান্টের রিয়ালিজম, “ক্যামেরার” বাস্তববাদ হতে ভিন্ন। মনে হয়, ক্যামেরা-মাত্রেরই রয়েছে এই জীবন্ত গুণাবলি ধরতে-পারার ক্ষমতা (আলবৎ, সঠিক পরিস্থিতিতে), মনে হয় ক্যামেরা এসেছেই এভাবে, এটির কলকব্জার মধ্যে ঐতিহাসিকতার,
ডকিউমেন্ট-করতে-পারার দাবি, আগা-গােড়া থেকেই আছে: এটিসত্যিই-ঘটেছিল, সে-বিশেষ-মুহুর্তে-ঠিক-এভাবেই ঘটেছিল। মিচেল বলেন, বিষয়টি চোখের-প্রতি আনুগত্যের ব্যাপার না, সঠিকভাবে দৃশ্যগত বাহ্যিকতা নথিভুক্ত করতে পারার ব্যাপারও না। দাবিটি হচ্ছে “ঐতিহাসিক জীবন-প্রক্রিয়া”র অংশবিশেষ ধরতে-পারার দাবি,আবার “শারীরিক জীবন-প্রক্রিয়া”র অংশবিশেষও।

Scroll to Top