Description
পর্তুগীজরা ভারতের মাটিতে পা দিচ্ছে থেকে শুরু হয়ে,পলাশীর যুদ্ধের পর ক্লাইভের প্রথম স্বদেশ যাত্রায় বইটির আখ্যানভাগ শেষ। মাঝখানে রয়েছে ভারতবর্ষ আর বাংলাদেশের তোলপাড় রাজনীতি,রাজপুরুষদের উত্থান-পতনের প্রবল লড়াই আর সেই সঙ্গে অথবা তারই ফাঁকে ফাঁকে জঙ্গল ফুঁড়ে কলকাতা নামের একটা শহরের জেগে ওঠার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ।আর যদি কেউ সেদিনের সেই পুরনো কলকাতার রহস্যময় হাতছানিতে ভুলে শহরের পথে পথে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায়, তার অলি গলি ইঠ পাথর হাতড়ে মরে, খুঁজে পাবে কি ওয়েলেসলি প্লেসের সেই ঝাঁকড়া মাথা বিরাট বহু-ঝুরি বটগাছটাকে, যার ডালে ঝুলিয়ে শাস্তি দেওয়া হত অপরাধীদের ? খুঁজে পাবে কি চিৎপুরের ধুলোয় সতীদাহের চিতার এক কণা ছাই ? অথচ ১৮২৮ পর্যন্ত এই চিৎপুরে জ্বলেছে সতীদাহের চিতা। সিমলা স্ট্রীটে এ যেতে হলে আজ আর কেউ জামা কাপড় খুলে যাই় না। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর শুরু হবার ৬ বছর পরও বাঘের ডাক আর ডাকাতের লাঠির দাপটে কাঁপত ঐ অঞ্চলটা। চাকর খানসামারা কাজ সেরে মনিবের কাছে জামাকাপড় গচ্ছিত রেখে বেরোত পথে।
Be the first to review “পুরনো কলকাতার কথাচিত্র পূর্ণেন্দু পত্রী”
You must be logged in to post a comment.