বীরভূমের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান -ড.নীলমাধব নাগ

Call / WhatsApp : +91 9563646472

To purchase / enquire about the book, send a WhatsApp message or call between 11 AM and 11 PM.

Description

 

Sold Out

সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে উত্তর বীরভূমে শব্দের শেষে যে শ্বাস বা সুরের টান দেখা যায় ও মহাপ্রাণতা লক্ষ্য করা যায় তা পূর্ব বীরভূম থেকে স্বতন্ত্র। এই অঞ্চলের নিজস্ব কিছু ভাষা বৈশিষ্ট্য ও শব্দভান্ডার রয়েছে যা জেলার অন্যান্য অঞ্চল থেকে স্বতন্ত্র। তাই জেলায় ভাষাকে তিনটি অঞ্চলে (পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর) বিভক্ত করে শব্দের পাশে পূর্বের জন্য (১), উত্তরের জন্য (২)পশ্চিমের জন্য (৩) চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলি বিশেষ কোন অঞ্চলের জন্য নয়
সেগুলিতে কোন সংখ্যা দেওয়া হয় নি। শব্দ সংগ্রহে শিষ্ট চলিত ভাষার শব্দের দিকে
লক্ষ্য না রেখে আঞ্চলিক শব্দের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং তাদের ব্যুৎপত্তি নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। বীরভূমের লােকভাষার অভিধান রচনার প্রয়াসে যে সকল শব্দাবলী এখানে সংযােজিত হয়েছে তা কেবলমাত্র বীরভূমের নয়। অন্য অঞ্চল বা অন্য জেলার শব্দাবলীও সংযােজিত হয়েছে।যেমন উত্তর বীরভূমের ভাষায় বরেন্দ্রী উপভাষা অঞ্চলের শব্দাবলী পুর্ব বীরভূমের ভাষায় রাঢ়ী উপভাষার, পশ্চিম বীরভূমের ভাষায় ঝাড়খন্ডী উপভাষার অন্যান্য অঞ্চলের শব্দাবলী অনিবার্যভাবে সংযােজিত হয়েছে। কারণ উক্ত অঞ্চলগুলিতে পারস্পরিক সাদৃশ্যযুক্ত উপভাষা রয়েছে আঞ্চলিক শব্দগুলাের বানান উচ্চারণ অনুসারে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে।তাই সব বানান শিষ্ট চলিত ভাষার সাথে মিলবে না। পূর্ব বীরভূমের ভাষা অপিনিহিতি ও অভিশ্রুতির মধ্যবর্তী অবস্থা। এখানে অপিনিহিতিজাত ‘ই’ ক্ষীণভাবে রয়ে গেছে সেটা বােঝানাের জন্য উক্ত ‘ই’ ছােট হরফে ছাপা হয়েছে। যেমন শিষ্ট চলিত ভাষার বাড়বে’ শব্দটি বাইড়বে’ উচ্চরিত হয়। এখানে অপিনিহিতিজাত ‘ই’ ক্ষীণভাবে উচ্চরিত হয়েছে।

Be the first to review “বীরভূমের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান -ড.নীলমাধব নাগ”