Description
সুখলতা রাও (১৮৮৬-১৯৬৯),উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরীর প্রথম সন্তান ও সুকুমার রায়ের জ্যেষ্ঠা ভগিনী। তবে সেই পরিচয়মাত্রে নয়,বাংলা শিশুসাহিত্যে তাঁর স্থান তিনি নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলেন তাঁর বিপুল গল্পকাহিনী প্রবাহে। তাঁর
বাইরেও তাঁর বাংলা ও ইংরেজি কবিতায় তিনি আধ্যাত্মিক ভাবের কবি। বিবাহসূত্রে ভক্তকবি মধুসূদন রাও-এর পুত্রবধূ সুখলতা বাঙালির কাছে ওড়িয়া সাহিত্য উপস্থাপনায়ও কীর্তিময়ী।
সুখলতা রাও ১৮৮৬ সালের ২৩ অক্টোবরে জন্ম গ্রহন করেন এবং ওড়িশাবাসী ডাক্তার জয়ন্ত রাওয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, আর সেই সূত্রে তিনি ওড়িশাবাসী হয়ে যান।কথিত আছে ‘রাও’রা মূলত মহারাষ্ট্রীয় যােদ্ধৃশ্রেণীর লােক ছিলেন, মারাঠাদের পূর্বভারত আক্রমণের সময়ে রাওদের বহুপূর্ব পূর্বপুরুষরা সেনাদলের সঙ্গে এসে দলচ্যুত হয়ে ওড়িশাতেই থেকে যান এবং বংশানুক্রমে ওড়িশায় থেকে কার্যত ওড়িয়া হয়ে যান।উপেন্দ্রকিশােরের ছয়টি ছেলেমেয়ে, যথাক্রমে সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয়,শান্তিলতা ও সুবিমল : হাসি, তাতা, খুশি, মণি, টুনী ও নানকু। এঁরা সকলেই পিতৃপ্রতিভার কিছু না কিছু উত্তরাধিকার পেয়ে তাঁরই কর্ষিত ভূমিতে বিকশিত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য ছিলেন সুকুমার ও তারপর সুখলতা। সুকুমার যদি বাবার ওজস্বিতা পেয়ে থাকেন তাে সুখলতা পেয়েছিলেন তাঁর মাধুর্য। পুণ্যলতা সাহিত্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিলেন অনেক পরে এবং নাম করেছিলেন মৃত্যুর পরে।ছয় ভাইবােনের মধ্যে সুখলতা, সুকুমার ও সুবিনয়ের চেহারার মিল ছিল-লম্বাচওড়া আকৃতি, মাথাভরা কেঁকড়া চুল, লম্বাটে মুখ, খাড়া নাক, আয়ত চোখ। সুবিনয়ের গায়ের রং ছিল উজ্জ্বল গৌর, সুকুমার, পুণ্যলতা ও শান্তিলতার চিকণ শ্যাম আর সুখলতার দুয়ের
মাঝামাঝি—উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। স্বভাবে তিনি সব ভাইবােনের থেকে একটু আলাদা ছিলেন:অন্যেরা যেখানে হাসিখুশিতে উচ্ছল সেখানে তিনি শান্ত, গম্ভীর ও রাশভারি ছিলেন।
Be the first to review “রচনা সংগ্রহ ১ ,সুখলতা রাও -জয়িতা বাগচী সম্পাদিত”
You must be logged in to post a comment.