Description
সিলভিয়ার কবিতায় কিন্তু মাতৃত্বের ছবি কিছুটা ভিন্ন। অপরাধবিদ্ধ মায়ের প্রসঙ্গ এখানে বিরল। যেটকু আছে তা অতি সংক্ষিপ্ত, তির্যক উল্লেখ। “দ্যা আদর’কবিতাকে এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে নেয়া যায়। তাঁর মাতত্ব-বিষয়ক কবিতায় মা
ও শিশর সম্বন্ধ চিরন্তন মাতহদয়ের শুদ্ধতায় দীপ্ত। ‘চাইল্ডলেস ওমেন’ কবিতায় শিশুর চিৎকারকে মনে করা হচ্ছে দেবােপম ঐশ্বরিক। ‘চাইল্ড’ কবিতার শুরুতে ফুটে ওঠে শিশুর চোখের স্বচ্ছ পরম সৌন্দর্যে মায়ের মুগ্ধতা এবং ‘কাইণ্ডনেস” এর উপসংহারে দুটি শিশু দুটি গােলাপের সাথে উপমিত। ‘হেভী ওমেন’ কবিতা উপস্থিত করছে সন্তানের স্বপ্নে বিভাের প্রসন্ন মায়ের ছবি। এই কবিতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে
বর্ণনা করা হচ্ছে ‘তর্কাতীত সন্দর আত্মতুষ্ট ভেনাসের মতাে’ এবং “প্রত্যেকটি ভারী পেটের ওপর একেকটি মুখ চাঁদ কিংবা মেঘের মত শান্ত ভেসে আছে”।বন্ধ্যাত্ব সে যত সুন্দর, যত ললিতশােভন হােক-সিলভিয়ার কাছে ভয়ঙ্কর। “নিখুঁত পরম, সে তাে ভয়ঙ্কর, সে পারে না জন্ম দিতে সন্তানের “The Munickh Mannequin’s”
উদ্ধত কবিতায় পােষকের দোকানে কাঁচের বাক্সের ভিতর ত্রুটিহীন সাজে সুসজ্জিত
মােহিনী মূর্তিরা দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি। ওরা অপরূপ, কিন্তু বন্ধ্যা। এই সাজানাে কৃত্রিম পৃথিবীতে মানুষ এক প্রকার পণ্য। আর নারীর পরম আদশ মডেল-হওয়া।কৃত্রিম ধনতান্ত্রিক সমাজের প্রতি সমালোচনার মনােভাব এই কবিতায় সুস্পষ্ট।অনেকের সাহুচর্যথচিত হয়েও য়িনি নিঃসঙ্গতার প্রতীক, যার জীবনচেতনা দুর্মর মৃত্যুপ্রেমে আচ্ছন্ন, জীবনের সার্বিক রিক্ততার বিপরীতে যিনি মৃত্যুর অন্তিম অভিযাত্রার একজন সহচর চেয়েছিলেন, যিনি সহচর হিসেবে তাঁর জননীকেও পাননি-তিনি সিলভিয়া প্লাথ।ভরা যৌবনে মাকে জড়িয়ে ধরে একবাৱ কেঁদে ফেলেছিলেন সিলভিয়া, কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন-‘Oh, mother, the world is so rotten, I want to die: Lets die together.’
উক্তি আর উপলব্ধি, জীবন আর শিল্পের মধ্যে ব্যবধTনের শেষ চিহ্নটিও মুছে দিলেন সিলভিয়া। মাত্র দশ বছরের ব্যবধানে,তিরিশ বছরের পূর্ণ বিকশিত প্রহরে তিনি যথন আত্মহত্যার
মায়াবী সাঁকো পেরিয়ে মৃত্যু লোকের অভিসারী, তথন কোলের শিশু সন্তানটিও আমরণ একাকী সিলভিয়াকে সঙ্গ দিলোনা।সিলভিয়া চলে গেলেন,পেছনে রেখে গেলেন জীবননিষ্কাশিত
অমর প্রতীতি-Dying is an Art.
Be the first to review “সিলভিয়া প্লাথের কবিতা -অনুবাদ:খুরশীদ আনোয়ার তপন জ্যোতি বড়ুয়া”
You must be logged in to post a comment.