[wbcr_html_snippet]: PHP snippets error (not passed the snippet ID)
এই বইএর লেখক পিটার পানকে, কে ২০০৯ সালে জার্মানি আর ভারতের মধ্যে পরস্পরকে জানা ও বােঝার পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে তাঁর সারা জীবনের কৃতির স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় জার্মানিতে।।
পেটার পানকের নিজের কথায়:
‘বিভ্রান্ত মলিনমুখ প্রেমিক, ভবঘুরে, নিষ্কমা, উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়ানাে মানুষ, উন্মাদ,চারণ কবি, দরবেশ আর কালান্দার, ভাঁড় আর বাউল – যারা আমার আগে এই পথ ধরে চলে গিয়েছে তাদের পদচিহ্ন আমি শুঁকে বেড়াচ্ছি। তাদের সুবাস যখন আমি পাই,আমার লেজটি নাড়াই, হুঙ্কার দিয়ে উঠি। আমি হলাম ত্রুবাদুরদের পথে দৌড়ে বেড়ানাে এক কুকুর।’
ষাটের দশকের শেষ দিকে সংগীতপ্রেমী এক জার্মান তরুণ হঠাৎ একদিন গ্রামাফোন রেকর্ডে শুনতে পান ভারতীয় ধ্রুপদ। শুনে একেবারে সম্মােহিত হয়ে যান, যেন এক যাদুর কাঠির ছোঁয়া তাকে আবিষ্ট করে রাখে। এই সংগীত যেন এক প্রপাতের মত ঝরে পড়ে তার অনুভবে,তাঁর চেতনায়। পিটার পানকে বাঁধা পড়ে যান ধ্রুপদ সংগীতের অপরূপ মায়ায়। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, ভারতভূমির এই সুপ্রাচীন সংগীতের সন্ধানই হবে তার জীবনব্রত। রাগরাগিণীর দেশ ভারতের পথে প্রান্তরে শুরু হয় তাঁর সংগীতের অভিযাত্রা। বারাণসী, দ্বারভাঙ্গা, বৃন্দাবন – সর্বত্র ছুটে বেড়ান ভারতীয় মার্গ সংগীতের দুরন্ত আকর্ষণে। ভারত তার কাছে ধ্বনিময় এক আশ্চর্য জগৎ বই নয়। রেলগাড়ির কামরার দুলুনি,রিকশার ক্রিং ক্রিং, নদীর পাড়ে কাপড় আছড়ানাের শব্দ, গভীর রাতে শববাহকদের কণ্ঠে ‘রাম নাম সত্ হ্যায়’, বারাণসীর কোন এক গলি থেকে আচমকা ভেসে আসা তবলার বােল – সবই ধারণ করেছেন লেখকসংগীতকার পিটার পানকে তাঁর জার্নালে। বইটির বাংলা অনুবাদক আব্দুল্লাহ আল-ফারুক বাংলাদেশ বেতার ছেড়ে যােগ দেন জার্মানির বহির্বিশ্ব বেতার ও টেলিভিশন কেন্দ্র ডয়চে ভেলেতে। বেতার সাংবাদিকতা করেছেন দীর্ঘকাল ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগে। বছর চারেক ছিলেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগেও। প্রবাসজীবন কাটছে তাঁর জার্মানির হাইডেলবার্গে।