Description
শান্তিনিকেতনে গড়ে উঠেছিল এস্রাজের এক বিশিষ্ট ঘরানা, যার কেন্দ্রে ছিলেন অবশ্যই বিষ্ণুপুরের অশেষচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়। তাঁরই সুযোগ্য শিষ্য রণধীর রায়। সংগীতভবনের ছাত্র ছিলেন না তিনি,ব্যক্তিগতভাবে অশেষচন্দ্রের কাছে তালিম নিয়েছেন শৈশব থেকে।গুরুর প্রদর্শিত পথ ধরে রণধীর ক্রমশ নিজের পথ অনুসন্ধান ও আবিষ্কার করেছেন, রচিত হয়েছে তাঁর স্বকীয় সঙ্গীত ভাবনার জগৎ। তাঁরই পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে উন্নত,পরিমার্জিত আধুনিক এস্রাজ,সৃষ্টি হয়েছে স্বরীতির বাদনশৈলী বা টেকনিক।এস্রাজের পর্দা সম্বন্ধে রণধীর রায় নিজস্ব কিছু ধারণা তাঁর যন্ত্রে প্রয়োগ করেছিলেন। তাঁর মতে, মোটা গেজের( gauge) পর্দায় বা ঘাটে সুরের নিখুঁত ভাব বা প্রত্যাশিত তীক্ষ্ণতা ক্ষুন্ন হয়।তাই তিনি সেতারের পর্দা-র(fret)গেছেরে চেয়েও সরু গেজ ব্যবহার করে যন্ত্রের তীক্ষ্ণতা বজায় রাখতেন। ঘাটগুলি(frets) নিজের হাতে মুগা সুতো(তিন পাকের মুগা সুতো) দিয়ে বাঁধতেন। কোন রাগ বাজাবার সময় রাগ-সম্বন্ধীয় কোমল স্বরগুলির শ্রুতি সঠিকভাবে প্রকাশের জন্য পর্দা বা ঘাটকে শুদ্ধ অবস্থান থেকে কোমল অবস্থানে পরিবর্তন করে বাজাতেন।
Be the first to review “এস্রাজের রণধীর -সংকলনঃ আলপনা রায়”
You must be logged in to post a comment.