Description
লাদাখে সীমান্ত বিরােধ পেকে ওঠার পর গুচ্ছ চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে নাগরিকদের কাছে বর্জনের ডাক দিয়েছে ভারত সরকার। নাকি স্পর্শকাতর বছ তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে ওই সব অ্যাপের মাধ্যমে। প্রশ্ন হল, এতই যদি জানকারি, আগে বলা হয়নি কেন? নাগরিকের বহু তথ্যই তাে তা হলে এত বছরে ফাঁস হয়েছে। আরও তাে কত হাজার একই রকম অ্যাপ রয়েছে। তার বেলা? বিরােধ পেকে -উঠলে বুঝি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণও লাগে না? এই যে ফেসবুকওয়ালারা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বিজেপি-সঘীদের রসেবশে রাখে, সরকার কর্পোরেটের তেমন আঁতাঁত থাকলে কি সিদ কাটা চলে যৌথ উদ্যোগেই? ইজরায়েলের পেগাসাসের মাধ্যমে সরকারই তাে গােপনে নজর রেখেছে নাগরিকের মেলে। আরােগ্যসেতু অ্যাপ নিয়ে এত চাপাচাপিও কি কম রহস্যময়? সুরক্ষা, নিরাপত্তার ছলনায় জবরদস্ত নজর-জালে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, গােপনীয়তা হরণ কোন ধরনের সভ্যতা? সবাইকে সন্দেহভাজন ভাবা ও ভাবানাের এই রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতির মুখােশ খুলতেই এই লেখা। আর সতত স্মরণে রাখা; those who would sacrifice liberty for security deserve neither! নাগরিকের পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্প্রীতি ও সমমর্মিতাই শ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ স্বাধীনতার।
Be the first to review “ডিজিটাল যুগে গণনজরদারি রাষ্ট্র ও মানবাধিকার -সুজাত ভদ্র”
You must be logged in to post a comment.