হুগলী জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ -সুধীর কুমার মিত্র

Call / WhatsApp : +91 9563646472

To purchase / enquire about the book, send a WhatsApp message or call between 11 AM and 11 PM.

Description

Sold Out

১৭শ শতাব্দীর কথা।এই শহরের রাজপথেই ১৬৮৬ সালে ইংরেজ-মােগলে প্রথম লড়াই। এখানেই বাংলার প্রথম ছাপাখানা, কাগজ কল,
বরফকল বসে, প্রথম বাংলা হরফ ঢালাই হয়, ছাপা হয় প্রথম বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ,
প্রথা সাময়িকপত্র ‘দিগদর্শন। এই হগলী জেলা বাংলাগদ্যের জন্মস্থান, কেননা রামরাম বস,
রাজা রামমোহন, বিদ্যাসাগর এই জেলাতেই জন্মেছিলেন।সেই সংগে সাহিত্যক্ষেত্রে নাম করতে হয় আর যাঁদের তার মধ্যে আছেন বাংলা মহাভারতের কাশীরাম-কালীপ্রসন্ন ‘অন্নদামঙ্গলে’র ভারতচন্দ্র, ‘আলালের ঘরের দুলাল’-খ্যাত টেকচাঁদ ঠাকুর, কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী।এ-কথা বললে তাই অত্যুক্তি হয় না যে
হগলী জেলা ‘মনীষার শ্রীক্ষেত্র ।একক অধ্যবসায়ে দীর্ঘকাল গ্রামে গ্রামে পর্যটন করে এই ব‌ই লিখেছেন সুধীরকুমার মিত্র।হগলী জেলার শিক্ষা সম্বন্ধে টয়েনবি সাহেব লিখিয়াছেন যে, প্রাচীন কাগজপত্র হইতে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী কলিকাতার কালেক্টরকে চুচুড়া এবং পার্শ্ববর্তী স্থান সমুহের বিদ্যালয়গুলি পরিচালনার্থ রেভারেণ্ড মণ্ডীর হস্তে মাসিক আটশত টাকা দিবার নির্দেশ দেন। কোম্পানীর পক্ষ হইতে একাউন্টেন্ট-জেনারেল কতৃক ২৫শে মার্চ ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি লিখিয়াছেন:
To continue to pay to the Revd : Mr. Mundy Rs. 800/- per mensem on account at the native Schools supported by Government at Chinsura and its vicinity.
১৮১৪ খৃষ্টাব্দে রবার্ট মে চুঁচুড়াতে একটি ইংরাজী স্কুল খােলেন; এই সম্বন্ধে পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ নামক গ্রন্থে লিখিয়াছেন—
গঙ্গাতীরবতী চুচুড়া শহরে রবার্ট মে নামক লণ্ডন মিশনারি সােসাইটিভুক্ত একজন খ্রীষ্টীয় প্রচারক বাস করিতেন। তিনি ১৮১৪ সালে সেখানে একটি ইংরাজী স্কুল খােলেন। প্রথম দিন ১৬টি মাত্র বালক উপস্থিত হয়। কিন্তু ত্বরায় ছাত্রসংখ্যা বর্ধিত
হইতে লাগিল। অবশেষে হগলীর কমিশনার মিষ্টার ফর্বস ওলন্দাজদিগের পরিত্যক্ত
পুরাতন কেল্লাতে স্কুলের জন্য একটি প্রশস্ত ঘর দিলেন। রেভরেণ্ড মে সেখানে স্কুল করিতে লাগিলেন। দুই এক বৎসরের মধ্যে আরাে কয়েকটি শাখা স্কুল স্থাপিত হইয়া ঐ
সকল স্কুলে প্রায় ৯৫১ জন বালক শিক্ষালাভ করিতে লাগিল। মিষ্টর ফবস স্কুলগুলির
উত্তরােত্তর উন্নতি দর্শনে প্রীত হইয়া গবর্ণমেন্টের নিকট হইতে মাসিক ৬০০ ছয় শত টাকা
সাহায্য দেওয়াইয়া দিলেন। রেভরেণ্ড মের চুচুড়ার স্কুলগুলির উন্নতি দর্শনে উৎসাহিত হইয়া বর্ধমানের রাজা তেজচন্দ্র বাহাদর আপনার প্রতিষ্ঠিত পাঠশালাটিকে ইংরাজী স্কুলে
পরিণত করিলেন।সার্প সাহেব তাঁহার ‘এডুকেশ্যানাল রেকর্ডে’লিখিয়াছেন— The schools were projected by a missionary May and at his death in 1818 there were
36 schools with 3,000 pupils.

Be the first to review “হুগলী জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ -সুধীর কুমার মিত্র”