ভারতের শিশু -সুকুমার সিং

Click on the button below to contact us on WhatsApp, and buy.

BUY ON WHATSAPP

HOW TO PAY

You can pay send your payment at any of the following UPI IDs, or scan the QR code, or send the payment directly to our bank:

INDIA POST PAYMENTS BANK

India Post

(IPPB) UPI ID= 9563646472@postbank
Malay De Sarkar
A/C No: 100005759940
IFSC: IPOS0000001
Mobile: 9563646472
STATE BANK OF INDIA

India Post

(SBI) UPI ID= 9563646472@sbi
Malay De Sarkar
A/C No: 32004843406
IFSC: SBIN0000162
Mobile: 9563646472

‘ জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা’ (National Family Health Survey) তাদের ১৯৯৮-৯৯ সালের সমীক্ষায় দেখাচ্ছে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত জীবন-যাপনের জায়গা থেকেও শিশুশ্রমের যােগান ঘটছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যার হিসাব যথাক্রমে ৬.৪৩ ও ৪২.৭৪ শতাংশ। আর রাজ্যস্তরে এই হার হিমাচলপ্রদেশে উচ্চবিত্ত শ্রেণি থেকেই সবচেয়ে বেশি ৬১ শতাংশ তারপর গোয়া ও আসামে যথাক্রমে ৪২ ও ২২.২২ শতাংশ। আর পশ্চিমবঙ্গে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের হার যথাক্রমে ১০.৯৭ ও ২৩.২৩ শতাংশ। দারিদ্র্যের বাইরে এই দুই স্তর থেকে শিশু শ্রমের যোগানের পিছনে ১০-১৪ বছর বয়স্ক শিশুদের মনে কাজ করে আধুনিক ভােগবাদী সমাজব্যবস্থার প্রতি একটা অপ্রতিরােধ্য টান, সেই সঙ্গে রয়েছে স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার নানান ত্রুটি। অতএব দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র দারিদ্র্যের কারণ ছাড়াও শিশুশ্রমের যােগানের পিছনে ৩০-৪০ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে সামাজিক পরিবেশের প্রভাব এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দায়।’সর্বশিক্ষা অভিযান’ এবং ‘মিড-ডে মিল’ প্রকল্পে স্কুলে না যাওয়া শিশুদের সংখ্যা ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সালে ৩.৯ কোটি থেকে কমে ১ কোটিতে এলেও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ১১-১৪ বছরের শিশুদের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির হার অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে আর স্কুল ছুটের সংখ্যাও সম্পূর্ণ প্রতিরােধ করা সম্ভব হচ্ছে না। রাষ্ট্রপুঞ্জ উন্নয়ন প্রকল্পের একটি প্রতিবেদনে দেখানাে হয়েছে ভারতবর্ষের ৬-১১ বছর বয়স্ক শিশুর স্কুলে নথিভুক্তির হার (Gross Enrolment Ratio) যেখানে ৯৬ শতাংশ সেখানে ১১-১৪ বছর বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৫৯ শতাংশ। এইসব স্কুলছাড়া শিশুরা নানা ধরণের নেশা, জুয়া ও আধুনিক অশ্লীল বিনোদনে নিজেদেরকে যুক্ত করে ফেলছে এবং এসবের ব্যয় জোগানের জন্য নানা ধরণের শ্রম এমনকি পাচার কাজেও নিযুক্ত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত জেলাগুলিতে শিশুশ্রমিকের এই সমস্যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। শিশুশ্রম রােধের আইনও এ বিষয়ে কোনও ভূমিকাই গ্রহণ করতে পারেনি। ১৯৯১ সালের জনগণনায় পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিক ভাবে সক্রিয় শিশুশ্রমিকের সংখ্যা যেখানে ছিল৭,১১,৬৯১ জন,২০০১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৮,৫৭,০৮৭ জন। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও এই বৃদ্ধি ১.১৩ কোটি থেকে হয়েছে১.২৬ কোটি।দুঃখের বিষয় হল এইসব শিশুশ্রমিক ধীরে ধীরে একসময় পারিবারিক মোটা আয়ের ৩৪-৩৭ শতাংশ যোগানদার হয়ে ওঠে ও পরিণামে অদক্ষ শ্রমিকে পরিণত হয়ে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে জীবনপাত করতে থাকে। জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি গভীরতর সমস্যা।

Scroll to Top