তাসিগাঁও, চুনাভাটি,লেপচাখা, ভুটানের পুনাখা যাওয়ার দুর্গম পাকদন্ডি পথ। থিম্পু ফুন্টশােলিংয়ের আগে পুনাখাই ছিল ভুটানের প্রাণবন্ত শহর, রাজধানী। ভুটানিরা পাসাখা অর্থাৎ বক্সাদুয়ার,সন্তলাবাড়ি (ভুটানিরা বলে ছেলােবাড়ি) হয়ে দমনপুর, আলিপুরদুয়ার যাতায়াত করত।সেসময় রবিবার, বৃহস্পতিবার সন্তলাবাড়িতে হাট বসত। সন্তলা হল কমলা। ঘােড়া,খচ্চর, হাতি সবই নাকি মিলত।কমলালেবুর মরশুমে সন্তলাবাড়ি জমজমাট হয়ে
উঠত।সিনচুলা পাহাড়ের কোলে বক্সার অনুপম সৌন্দর্য। সত্যি বর্ণময় চিত্র। রৌদ্রোজ্জ্বল
গিরিশৃঙ্গমালা হৃদয়কে আনন্দে আপ্লুত করে তােলে। আরণ্যক সৌন্দর্যে ভরপুর বক্সার অতীত চালচিত্র জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে সান্ডার্স সাহেবের পশ্চিম ডুয়ার্সের সেটেলমেন্ট রিপাের্ট। জমি জরিপের মানুষ হলেও স্যান্ডার্স মহাশয় মােটেও কাঠখােট্টা প্রকৃতির ছিলেন না। বক্সা সম্পর্কে তার উচ্ছ্বসিত মন্তব্যের কিছুটা উল্লেখ করা যাক :
…. The grandeur of the scenery is enriched by the blue hills of Bhutan which forms a splendid background and in the cold weather months when the hills are snowcapped and Kanchanjangha is
seen. The picture is magnificent more than expalin…. On this road you may also see wild elephants and not unfrequently tiger, while deer and pigs are common….’
উত্তরবঙ্গে মাদারিহাট শহর কিংবা ফুন্টশােলিং পাহাড়ের পেছনে টোটো সম্প্রদায়ের বাস। টোটোদের কোন লােক মারা গেলে বাঁশের জঙ্গলে গিয়ে কবর দেওয়া হয়।মরদেহের সঙ্গে পান, সুপারি, কাপড়চোপড় আর ইউ (মদ) রাখা হয়। টোটোদের বিশ্বাস, মৃতদেহরা এসব গ্রহণ করে। মাটির নিচে মৃতদেহকে শায়িত করে মাটি চাপা দেয়। আর তার ওপরে বড় বড় পাথর চাপিয়ে রাখে। কবরস্থানের ওপর বিশেষ
বিশেষ বাঁশগাছ লাগিয়ে দেয় চিহ্ন রাখার জন্য। মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে ছ’দিন এবং স্ত্রী হলে পাঁচদিন অশৌচ পালন করা হয়। সেই সময় তারা ঘর ছেড়ে বের হয় না।কারুর সঙ্গে কথা বলে না। মৃতের স্বামী কিংবা স্ত্রী হলে একবছর অশৌচ পালন করে। এই সময় তারা একটি লাঠি রাখে। কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে যােগ দেয় না।ঠাট্টা-তামাশা, নাচগান, বেশি কথা বলা বর্জনীয়। আলিপুরদুয়ার নিবাসী কবি, সুলেখক প্রয়াত সমীর চক্রবর্তী মহাশয় তাঁর সাদরি ভাষা তথা চা-বাগানের সমাজ-সংস্কৃতিমূলক মূল্যবান গ্রন্থে ডুয়ার্সের কালচিনি চা-বাগান অঞ্চলে লােহার সম্প্রদায়ের সৎকার প্রথা বিষয়ে লেখেন— মৃত্যুর পর প্রিয়জনের দেহ শেয়াল কুকুর বা বন্য জন্তু কাড়াকাড়ি করে, সেটা মানুষ বরদাস্ত করতে পারে না। তাই বালি চাপা বা বরফ চাপা দেয়।কিংবা পাথরে চাপা দেয়। পরে সমাধিস্থ করে। শ্রাদ্ধের দিন অতিথি অভ্যাগতদের বাটিতে হাড়িয়া পরিবেশন করা হয়। হাড়িয়া পানের পর কুশপুত্তলিকা পােড়ান হয়।রথযাত্রার পর কেউ মারা গেলে তাকে প্রণাম করে কবর দেওয়া হয়। তার পিতৃতর্পণের দিন মাটি থেকে হাড়গােড় বের করে দাহকার্য করা হয়। এর নাম হাড়বরা অনুষ্ঠান।
সিঞ্চুলার ছায়ায় বক্সা ও অন্যান্য -গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য
Click on the button below to contact us on WhatsApp, and buy.
HOW TO PAY
You can pay send your payment at any of the following UPI IDs, or scan the QR code, or send the payment directly to our bank:
INDIA POST PAYMENTS BANK
(IPPB) UPI ID= 9563646472@postbank
Malay De Sarkar
A/C No: 100005759940
IFSC: IPOS0000001
Mobile: 9563646472
STATE BANK OF INDIA
(SBI) UPI ID= 9563646472@sbi
Malay De Sarkar
A/C No: 32004843406
IFSC: SBIN0000162
Mobile: 9563646472