মাটির পুতুল

Click on the button below to contact us on WhatsApp, and buy.

BUY ON WHATSAPP

HOW TO PAY

You can pay send your payment at any of the following UPI IDs, or scan the QR code, or send the payment directly to our bank:

INDIA POST PAYMENTS BANK

India Post

(IPPB) UPI ID= 9563646472@postbank
Malay De Sarkar
A/C No: 100005759940
IFSC: IPOS0000001
Mobile: 9563646472
STATE BANK OF INDIA

India Post

(SBI) UPI ID= 9563646472@sbi
Malay De Sarkar
A/C No: 32004843406
IFSC: SBIN0000162
Mobile: 9563646472

এই মাটির পুতুলটি লম্বায় ১১.৫সে.মি ও চ‌ওড়ায় ৬ সে.মি।পৃথিবীর তিন ভাগ জল। জলপথে পৃথিবীর সব মানুষ পরস্পরিত হয়ে আছে ।জলসূত্রে আমরা সবাই আত্মীয়।এ প্রসঙ্গে লোকশিল্প-তাত্ত্বিক তোফায়েল আহমেদের প্রবন্ধ থেকে পাঠ নিতে পারি।তিনি বলেছেন,”মাটির মাধ্যমে মানুষের মনের অভিব্যক্তি ঘটে আনুমানিক ১৫,০০০ বছর আগে।সকল প্রাচীন সভ্যতায় একটা সাদৃশ্য দেখা যায়,তা হল মাতৃ উৎস থেকে জীবন, প্রিয় স্রষ্টা এবং উর্বরতা(fertility) ও মাতৃদেবীর(Mother cult)ধারণা থেকে উৎসারিত।জননী বা অন্নদায়িনী ধরিত্রীর ধারণা ছিল তার মূলে।খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত মাটির টেপা পুতুল থেকে আরম্ভ করে কুমার বাড়ির মেয়েদের হাতে তৈরি রীতিবদ্ধ(stylized)নারী পুতুলের ধারা প্রাচীন সমাজের সে ধারণা বলে অনুমান করা যায়।”শিশুরা নরম মাটি নিয়ে খেলা করে।নানা রূপ গড়ে গড়ন গড়ার সুখ পায়। সভ্যতার শিশুবেলায় মানুষকে বুঝতে হয়েছিল মাটির মর্মার্থ।সব বিখ্যাত সভ্যতার নিদর্শনের মধ্যে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণে বিচিত্র মৃৎশিল্প।নীলনদের পাড়ে,ইউফ্রেতিস আর তাইগ্রিসের তীরে, সিন্ধু নদের অববাহিকায় মাটি খুঁড়ে অজস্র শিল্প নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রত্নস্থল খনন করে পাওয়া গেছে মৃৎশিল্পের নানা নিদর্শন।প্রাত্যহিক প্রয়োজনে তৈজসপত্র ছাড়াও পাওয়া গেছে নানা রূপ ও অভিব্যক্তির পুতুল ।শুধুমাত্র শিশুর হাতের খেলনা বা সৌখিন পণ্য হিসেবে নয়,পুতুল যে কোনো জাতির জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।একটা জাতিকে বুঝতে হলে সেই জাতির পুতুল অধ্যায়ন দিক-নির্দেশক হতে পারে। সমগ্র বিশ্বের সংস্কৃতিতে পুতুল শিশুর একটি আদি খেলনা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। মিশরীয় কবরস্থানে ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বে মাটি এবং কাঠের তৈরি মানুষের ক্ষুদ্রাকৃতির পুতুলের সন্ধান মেলে। গ্রিস এবং রোমের‌ শিশুদের কবরস্থানেও পুতুলের সন্ধান পাওয়া যায়।আমাদের পুতুল‌ও খুব প্রাচীন। ২০০০ বছর আগে মহাস্থান ও পরবর্তী সময়ে পাহাড়পুর, ময়নামতিতে যে টেরাকোটা পুতুল তৈরি হতো,আজো কুমার বাড়িতে মেয়েরা সে ধরণের পুতুল গড়ছে। শিল্পবোদ্ধা এবং সমাজ ও নৃবিজ্ঞানীরা মনে করেন, পুতুল প্রাক-আর্য যুগের আদিবাসী মানুষের হাতে তৈরি।পুতুল তৈরির পিছনে যাদু বিশ্বাস,ধর্ম,ইচ্ছা-পূরণ ও শত্রু নিধনের সম্পর্ক আছে।
(সংগৃহীত হয়েছে, পুতুল: বাংলার প্রাণ-প্রতিমা লেখিকা:সামিনা নাফিস ব‌ই থেকে)

Scroll to Top