স্মৃতিতে স্মরণে বগুড়ার দত্ত বাড়ি ও এক মহাজীবন

Call / WhatsApp : +91 9563646472

To purchase / enquire about the book, send a WhatsApp message or call between 11 AM and 11 PM.

Description

বগুড়ার দত্ত পরিবারের ইতিহাস অনুসন্ধান করে
যেটুকু জানতে পারা গেছে, তাহল ১৭৮০ খ্রিঃ থেকে এই দত্ত পরিবাৱ ১৯৪৭ খ্রিঃ পর্যন্ত অধুনা বাংলাদেশের বগুড়া জেলায়, রাজশাহী জেলায় এবং পাবনা জেলায় সাত পুরুষ ধরে বিস্তৃত
ব্যবসা ও জমিদারি স্থাপন করে এক অনন্য
নজির সৃষ্টি করেছিলেন। এই দত্ত পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের শরিকগণ কলকাতা, ব্যারাকপুর, বারাসাত, কৃষ্ণনগর,কাটোয়া, দিনাজপুর, বালুরঘাট ও শিলিগুড়ি শহরে বসবাস
করছেন।এই দত্ত পরিবার অত্যন্ত ধর্মাপরায়ন। এর নজির হিসাবে বলা যায় প্রায় ২০০ বছর আগে এই বংশের পূর্বপুরুষ বৃন্দাবন থেকে নদীপথে রাধাগােবিন্দের কষ্টিপাথর ও অষ্টধাতুর বিগ্রহ এনে বগুড়া শহরে পাঁচ মহলা বাড়ির মন্দির স্থাপন করে নিত্য সেবার ব্যবস্থা করেছিলেন।
বাড়িতে কুলদেবতা স্থাপনের পর থেকে নিয়মিত
বিগ্রহের জন্মাষ্টমী, দোলযাত্রা, রাসযাত্রা ইত্যাদি সবরকম উৎসব প্রচুর ধুমধাম সহকারে বগুড়ার আপামর জনসাধারণের উৎসাহও উদ্দীপনার মধ্যে পালিত হয়েছে। দেশ ভাগের পর নবদ্বীপে ‘বড় আখড়া’ মন্দিরে রাধাগােবিন্দের নিত্যসেবা ও নানান উৎসব আজও পালিত হয়ে চলেছে। নবদ্বীপের মন্দিরে রাধাগােবিন্দের বিগ্রহ ছাড়াও মঙ্গলচণ্ডী, গােপাল, নারায়ণ শিলা প্রভৃতি বিগ্রহের নিত্যসেবা হয়ে চলেছে।‘দত্তবাড়ি’ বগুড়া শহরের একটি তীর্থক্ষেত্রের নাম।এখানে একটি মন্দির স্থাপন করেছিলেন দত্ত পরিবারের প্রয়াত হারাধন দত্ত, হরিধন দত্ত ও গদাধর দত্ত। ১৩০৪ সনে। প্রায় এক একর জায়গা নিয়ে মন্দিরের বাগান। পূজার সময় যাতে মেলা হতে পারে তারজন্য প্রশস্থ রাস্তা। পূর্বে এই মন্দিরে পূজা ও মেলা হতাে। মাঝে মাঝে অন্নপূর্ণা পূজা হয়েছে লােকের মুখে শােনা যায়।গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বাংলাদেশে এখন এই মন্দিরটিই শ্রেষ্ঠ। ১৯৪৭ এর পর থেকে মন্দিরের চারপাশের জায়গা বিহারি মুসলিমদের দখলে চলে যায়। ওই কঠিন সময়ে দত্ত পরিবারের প্রয়াত বসন্ত কুমার দত্ত ও প্রয়াত হরিনারায়ণ দত্ত এই মন্দিরটি জীবন বাজি রেখে রক্ষা করেন।এই দু’ভাই মিলে ১৯৬৭ সালে এই মন্দির রক্ষায় বগুড়ার‌সম্মানিত হিন্দুদের নিয়ে দত্তবাড়ি দেবসেবা ট্রাষ্টি বাের্ড গঠন করেন।

Be the first to review “স্মৃতিতে স্মরণে বগুড়ার দত্ত বাড়ি ও এক মহাজীবন”