Description
দুফ্রাঁর অনুরুপ চরম নৈরাজ্যবাদের ভাব বহু নন্দনতাত্ত্বিকদের মধ্যে একটা নাস্তিমূলক প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছে। যেমন, সম্মেলনের একজন ইটালীয় প্রতিনিধি জিয়ান্নি ভাত্তিমোএক অর্থে দুফ্রার় প্রত্যুত্তরে সমসাময়িক পুন্যতাবাদের নিন্দা করে বলেছেন, “…নিটশে ছিলেন বুদ্ধিজীবী বিদ্রোহী, পাতি বুর্জোয়া…শিল্পী কে সর্বদা তার যুগের সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে “ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।”শিল্পের অস্তিত্ব ও বিকাশের সবচেয়ে স্থায়ী, বিশ্বজনীন ভিত্তি সম্পর্কে গবেষণার একটি মৌলিক পদ্ধতিগত তাৎপর্য রয়েছে, বুর্জোয়া় নন্দনতত্ত্বে “বহুত্ববোধক” ও নৈরাজ্যবাদী ধারণার, আধুনিকতার দেউলিয়া অবস্থাকে তা তুলে ধরতে পারে। সেই সম্গে শিল্পকলাকে লোকসংগীত ও তাৎক্ষণিক সামাজিক স্তরের মিলনরুপে দেখলে আমরা প্রকৃত শিল্পকলাগত সৃজনশীলতা ও প্রকৃত শিল্পকলার মানদণ্ড আবিষ্কার করতে পারি।তাই ফ্রাঁসোয়া র্যাবেলের লেখা দেখতে গিয়ে এম. এম. বাখতিন লিখে ছিলেন, “… রাবেলের উপন্যাসে উদার ও পূুর্ণভাবে প্রতিফলিত সমসাময়িক সত্য উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় উৎসব থেকে আহূত ছবির সাহায্যে। তাদের আলােকেও এই সতোর শ্রেষ্ঠ দিককে মনে হয় সীমাবদ্ধ, জনপ্রিয় আদর্শ ও আশা থেকে দূরে…”।এই কারণেই (রাবেলের রচনার) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিম্ট্য হল, তিনি অন্যদের চেয়ে জনপ্রিয় উৎসের সঙ্গে বেশী ঘনিষ্ঠ ও মৌলিকভাবে আবদ্ধ…এইসব উৎস তাঁর সমগ্র রপকল্প ও শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গিকে নিয়ন্ত্রিত করেছে।” অবশ্য রাবেল ও জনপ্রিয় উৎসের এই মৌলিক ও দীর্ঘস্থায়ী যোগসূত্র তাঁর অতি আধুনিক শিল্পী হওয়ায়, জরুরী সামাজিক সমস্যার উত্থাপনে এবং তাদের শিল্পীজনােচিত সমাধান কোন বাধা সষ্টি করে নি। বরং সম্পর্কের জন্য তিনি চারদিকের জগতের দিকে বেশী অন্তরদেশী দৃষ্টি দিতে পেরেছেন। বাখতিন বলেছেন, “উপন্যাসে জরুরী রাজনৈতিক সমস্যা অত্যন্ত বড় ভূমিকা গ্রহণ করে… রাবেলের নিজের যুগে যে শক্তির সংঘর্ষ চলেছিল তাতে তিনি সবচেয়ে প্রগতিশীল স্থান দখল করেছিলেন।”
Be the first to review “মার্কসবাদী লেনিনবাদী নন্দনতত্ত্ব ও জীবন -অনুবাদ:জ্যোতির্ময়ী চৌধুরী”
You must be logged in to post a comment.