Description
যৌন-প্রবৃত্তি শিশুদের ভিতর দেখা যায় কি? অনেকে এ প্রশ্ন শুনিয়া আতকাইয়া উঠিয়া বলিবেন, “ছি, সােনার বাছাদের নামে কি যা-নয়-তাই কথা?” কিন্তু কোনাে পরিপােষিত ধারণার বশবর্তী না হইয়া যদি আমরা শিশুদের ব্যবহার, কথাবার্তা লক্ষ্য করি তবে দেখিব তাহাদের যৌন-ঔৎসুক্য আছে। ছেলে-মেয়ের কি তফাত, ছেলে হয় কি করিয়া–এ সব প্রশ্ন তাহারা করিয়া বসে।প্রফেসার ফ্রয়েড শৈশবে যৌন-জীবনের স্ফুরণ সম্পর্কে আশ্চর্যজনক কতগুলি কথা লিখিয়াছেন। তিনি বলেন— শিশুদের যৌনক্ষুধা প্রথমত মুখ দিয়া চুষিয়া তৃপ্তি পায়। অতি ক্ষুদ্র শিশু সব সময় মুখে আঙুল দিয়া চুষিতে থাকে। যাহা-কিছু তাহাকে দেওয়া গেল তাহাই মুখে পুরিল এবং চুষিতে লাগিল। মুখ দিয়া চোষা এবং কামড়ানােয় তাহাদের বয়স্ক লােকেদের যৌনপরিতৃপ্তির মতােই আনন্দ লাভ হয়, এবং ইহাই তাহাদের প্রাথমিক যৌন-জীবনের বিকাশ।কিছু বড় হইলে ছেলেপিলেরা নিজেদের শরীর হইতে নির্গত মল লইয়া খেলিতে ভালােবাসে। তাহাদের পরিষ্কার করিতে আসিলে বাধা দেয়,যেন উহা কত আদরের জিনিস। মলত্যাগ করার সময় তাহাদের খুব আনন্দ হয় এবং মল দর্শনে বিশেষ তৃপ্তি পরিলক্ষিত হয়। এই আনন্দে শিশুর কাছে যৌন-পরিতৃপ্তির আনন্দেরই তুল্য বলিয়া ফ্রয়েড মনে করেন।তার পর আরও বড়াে হইলে যৌন-ইন্দ্রিয় সম্বন্ধে তাহার কৌতূহল ও উৎসাহ জাগে। যৌন-ইন্দ্রিয় লক্ষ্য করা, তাহাকে মূল্যবান সামগ্রীর ন্যায় মনে করা শিশুদের ভিতর প্রায়ই দেখা যায়। মূত্র লইয়া নিজেদের ভিতর তাহারা খেলা করে, উল্লাস প্রকাশ করে। কে কত দূরে উহা নিক্ষেপ করে তাহা লইয়া আলােচনা হয়- যেন তাহা কত বড়াে আত্মপ্রসাদের বস্তু। ইহাতে মনে হয় যেন শিশু যৌনতৃপ্তি লাভ করিতেছে।
Be the first to review “শিশুর মন -শ্রীসুখেন লাল ব্রহ্মচারী”
You must be logged in to post a comment.