ভারতবর্ষের ইতিহাস -কোকা আন্তোনভা, গ্রিগোরি বোনগার্দ- লেভিন, গ্রিগোরি কতোভস্কি

Call / WhatsApp : +91 9563646472

To purchase / enquire about the book, send a WhatsApp message or call between 11 AM and 11 PM.

Description

বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা গুলোর একটি উৎপত্তি ঘটে ভারতে। এখানেই ফে ওঠে অত্যন্ত উঁচুস্তরের উন্নত এক সংস্কৃতি যা এই দেশের পরবর্তী বিকাশের ক্ষেত্রে এবং সমগ্রভাবে গােটা প্রাচোর, মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ও দূর প্রাচ্যের বহু জাতির সংস্কৃতির অগ্রগতিতে বিপুল প্রভাব বিস্তার করে। প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার, ইত্যাদির ফলে এখন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে মানবসমাজের একেবারে আদিতম কাল থেকেই ভারতে জনবসতি বর্তমান ছিল।এ-দেশের বহু অঞ্চল থেকেই প্রত্নপ্রস্তরযুগের নিম্নতর ভূ-স্তরের আমলে তৈরি পাথরের হাতিয়ার, ইত্যাদি পাওয়া গেছে। পরস্পর-নিরপেক্ষ ভাবে নিম্নতর প্রত্ন প্রস্তর যুগীয় সংস্কৃতির দুটি কেন্দ্র উদ্ভূ্ত হয়েছিল একদা: উত্তরে সোন নদীতীরবতী সংস্কৃতি (বর্তমান পাকিস্তানের সোন নদীর তীর-বরাবর) এবং দক্ষিণে দাক্ষিণাত্য-অঞ্চলে তথাকথিত মাদ্রাজি সংস্কৃতি। এই দুটি প্রত্নপ্রস্তরযুগীয় কেন্দ্রই মনুষ্যবাসের পক্ষে অধিকতর অনুকূুল নদী-উপত্যকায় অবস্থিত ছিল। এদের মধ্যে প্রথম আবিস্কৃত হয় ১৮৬৩ সালে মাদ্রাজ এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রটি। এ-কারণে দক্ষিণ ভারতে নিম্নতর প্রত্নপ্রস্তরযুগের বৈশিষ্টাসূচক কুঠার, ইত্যাদি যে-হাতিয়ার পাওয়া গেছে তাই-ই মাদ্রাজি কুঠার নামে পরিচিত হয়ে আসছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের নিম্নতর প্রত্নপ্রস্তরযুগীয় খননক্ষেত্রগুলিতে কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের হাতিয়ার পাওয়া গেছে, যেমন পাথরের নুড়ি কাটার বড়-বড় গুরুভার হাতিয়ার। এই হাতিয়ার ইংরেজি ‘চপার’ শব্দটি দিয়ে চিহ্নিত হয়ে আসছে। প্রত্নপ্রস্তর যুগের হাতিয়ার ইত্যাদি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও, যেমন মধ্য ও পশ্চিম ভারতেও, অতঃপর আবিস্কৃত হয়েছে। দেখা গেছে, সে-সমস্ত জায়গায় সােন ও মাদ্রাজের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেন পরস্পর খাপে-খাপে জোড়া লেগে মিলেমিশে গেছে। নতুন গবেষণার ফলে দেখা গেছে যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মাদ্রাজি কুঠারেরই প্রাধান্য বর্তমান, আর যত উত্তর দিকে এগোচ্ছে আমরা, সােন-অঞ্চলীয় হাতিয়ারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ততই।

Be the first to review “ভারতবর্ষের ইতিহাস -কোকা আন্তোনভা, গ্রিগোরি বোনগার্দ- লেভিন, গ্রিগোরি কতোভস্কি”