Description
রবীন্দ্রনাথ ১৯১৬ সালে প্রথমে জাপানে ওকাকুরার বাড়িতে ও পরে আমেরিকার ক্লীভল্যান্ড-এর (Cleveland) শেকসপীয়র বাগানে বক্ষরােপণ করেছিলেন।শান্তিনিকেতনের উত্তর অঞ্চলে পঞ্চবটীর প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৫ সালে।
সে বৃক্ষরােপণ হয়েছিল কবির জন্মােৎসবের অনুষঙ্গরপে। আনুষ্ঠানিক ভাবে সর্বপ্রথম শান্তিনিকেতনে বক্ষরােপণ উৎসবের প্রবর্তন হয় ১৯২৮ অব্দে।১৯২৬ সালের ৮ই নভেম্বর Balaton Fubred নামক হ্রদের তীরে স্বাস্থ্য নিবাস সংলগ্ন উদ্যানে রােপণ করেছিলেন ‘লিনতেন’ বক্ষের একটি চারা।১৯৪৭ সাল স্বাধীনতার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বন সম্পদ বাড়াবার উদ্দ্যেশে ও বন রক্ষার উদ্দ্যেশে দেশবাসীর বনচেতনাকে উদ্বুদ্ধ করার মানসে এবং সংরক্ষণে জনসাধারণের সহযােগিতা লাভের উদ্দ্যেশে প্রবর্তন করেন ‘বনমহােৎসব’। নতুন স্বাধীন ভারতের খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ১৯৫০ সালে দেশব্যাপী বনমহােৎসবের প্রবর্তন প্রসঙ্গে ঋষিদের প্রবর্তিত গৌরবময় যুগের আশ্রমিক সভ্যতার কথা দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে
দেন। বস্তুতঃ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ, কবি রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পুত্র উদ্ভিদবিদ রথীন্দ্রনাথ আশ্রমিক শিক্ষার পরিবেশ রচনায় যে কাজ করে গেছেন বনমহােৎসব তারই রাষ্ট্রীয় পূর্ণতার অভিব্যক্তি।
Be the first to review “বৃক্ষরোপণ উৎসব ও ৬১টি বৃক্ষের পরিচয় -লক্ষীশ্বর সিংহ”
You must be logged in to post a comment.