Description
এটা অস্বীকার যাবে না যে, উত্তাল ষাট দশকের শেষে ‘প্রজাপতি’ বা ‘বিবর’ একটা উত্তপ্ত প্রতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছিল।যে যুবকরা চে গুয়েভারা পড়ছিল, ভিয়েতনামের সমর্থনে মিছিল করছিল, তারাই যে আবার বিবর-প্রজাপতি পড়ে উত্তেজিত হচ্ছিল,এটাও ঘটনা। সত্যজিৎ রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবিতে নায়কের মুখে শুনি, সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় ঘটনা ভিয়েতনামের যুদ্ধ।এই কথা সে বলে আসে ইন্টারভ্যু দিতে গিয়ে। মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভ্যু’ ছবিতে আবার দেখি, ইন্টারভ্যু বাের্ডে প্রশ্ন করা হচ্ছে :‘বিবর’ পড়েছেন ? বাই সমরেশ বােস ? আর নায়ক মুচকি হেসে বলছে: পড়ি নি আবার! মৃণালের নায়ক মােটেই সুখেনের মতাে
যুবক নয়। মনে মনে সে বরং বেশ বিদ্রোহী। কিন্তু ‘বিবর’ বা ‘প্রজাপতি তাকেও টানে। এটা সেই সময় খুবই সত্যি ছিল।প্রজাপতি মামলাকে কেন্দ্র করে শ্লীল-অশ্লীল প্রশ্ন, যৌন-সম্পর্কের
ধারণা, লেখকের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিঃসন্দেহে সামাজিক প্রতর্কের মধ্যে এসে গিয়েছিল। সেই সময়টাই ছিল
নতুন করে উলটে পালটে দেখা, ভাঙচুর, বিদ্রোহ আর বিনাশের যুগ।এই রকম একটি সময়ে ‘প্রজাপতি ‘লিখে বিদ্রোহচেতনায় নতুন একটা উদ্দীপন যুগিয়েছিলেন সমরেশ বসু। এইভাবেও
দেখা যেতে পারে বিষয়টাকে। আমাদের সংস্কারলালিত সমাজে যৌন সম্পর্ককে আমরা ঠিক আলােচনার বিষয় ভাবতে পারি না।
তিরিশ বছর আগে এই সংস্কার আরও বেশি ছিল।
Be the first to review “সমরেশ বসু সংখ্যা ২ -এবং জলার্ক”
You must be logged in to post a comment.