অধার্মিকের ধর্ম-কথা -ভবানী প্রসাদ সাহু

Call / WhatsApp : +91 9563646472

To purchase / enquire about the book, send a WhatsApp message or call between 11 AM and 11 PM.

Description

ধর্মের ইতিহাস বিজ্ঞান চেতনার বিরুদ্ধে অবিজ্ঞানের লড়াইয়ের ইতিহাস, সত্যের
বিরদ্ধে অসত্যের সংগ্রামের ইতিহাস। এখন থেকে ৫০-৬০ হাজার বছর আগে,
নিয়ানডার্থাল মানুষ আধুনিক মানুষে রপান্তরের পর্যায়ে অজ্ঞতা, অসহায়তা ও মানবিক অনুসন্ধিৎসার অসাধারণ সংমিশ্রণে অলৌকিক শক্তি ও মত্যু পরবতী প্রাণের কল্পনা করা শুরু করেছিল। বহ, শত বংশ পরম্পরায় মানুষের সমাজ বিকাশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই কল্পনা বিকশিত হয়েছে। সষ্টি হয়েছে নানা ধর্মবিশ্বাস ও প্রাসঙ্গিক মল্যবােধ, অনুশাসন।প্রায় ৬ হাজার বছর আগে শ্রেণী বিভক্ত সমাজ ধীরে-ধীরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পর এসব বিশ্বাস ও মূল্যবােধগলি আর নিছক মানুষের সবজনীন ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে নি,তা বিশেষ শ্রেণীর স্বার্থবাহীও হয়ে উঠেছে। ধর্ম শুধ, শাসক শ্রেণীর শাসনের অন্যতম হাতিয়ার হয়নি, তা অন্যদিকে শােষিত মানুষের অসহায় আশ্রয়স্থলের অবিচ্ছেদ্য ভূমিকাও পালন করেছে। আগের মত শুধু প্রকৃতির নয়, সমাজেরও নানা প্রতিকল অনিশ্চয় ও অলঙ্ঘ্য শত ও শক্তিগুলিও এই ধর্ম ও তার প্রাসঙ্গিক নানা বিশ্বাসের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। যতদিন এই শর্তাবলী ও শক্তিগুলি সক্রিয় থাকবে ততদিন এ
জাতীয় বিশ্বাস কোন না কোনভাবে টিকে থাকবে। ধর্ম ও ঈশ্বরবিশ্বাস একটি একটি বিশেষ ব্যবস্থা ও পরিবেশের বহিকাঠামাে।তাই ধর্মের উচ্ছেদ বা তার বিরােধিতার চেয়ে তার টিকে থাকার পেছনের এই শক্তি ও শর্তগুলিকে দর করা, অন্তত তার জন্য নিরলস চেষ্টা চালানাে বেশি গুরত্বপূর্ণ। জোর করে ধর্মের পথ রুদ্ধ করতে চাইলে, এবং ধর্মবিশ্বাসীদের
অপমান বা ব্যঙ্গ করলে, অর্থাৎ সমাজে এই বিশ্বাস টিকে থাকার কারণগুলি বর্তমান
থাকা সত্ত্বেও ধর্ম ও ধর্মবিশ্বাসকে অস্বীকার করার কথা বল্লে, এসবের প্রতিক্রিয়ায় ধর্মবিশ্বাসীরা ও কায়েমী স্বার্থগুলি আরাে শক্তি দিয়ে ধর্মকে অাঁকড়ে রাখার চেষ্টা করবেই। তার জন্য তাঁরা মরীয়া, হিংস্র, হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পাশবিক শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেও দ্বিধা করবেন না। এবং বাস্তবত তা করছেনও। পথিবীতে
মানুষের ইতিহাস খাদ্য বস্ত্র-বাসস্থান-স্বাস্থ্য-সস্থ যৌনতা ইত্যাদি অর্জনের জন্য সংগ্রামের ইতিহাস। আদিমকালে যা ছিল প্রাকৃতিক সংগ্রাম, পরবর্তীকালে তা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উভয়ক্ষেত্রেই প্রসারিত হয়েছে। এখন পৃথিবীতে প্রকৃতির চেয়ে সমাজই বড় প্রতিকল শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছে।

Be the first to review “অধার্মিকের ধর্ম-কথা -ভবানী প্রসাদ সাহু”